গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া যাবে কিনা কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভ অবস্থায় কচুর লতি খাওয়া যাবে কিনা কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া যাবে কিনা এবং কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে আপনি জানতে পারবেন কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা কচুর লতি খেলে এলার্জি কেন হয়। ও আরো জানতে পারবেন কচুর লতিতে থাকা বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ ভিটামিন সম্পর্কে। 


পেজ সূচিপত্র 

  • ভূমিকা  
  • গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা।
  •  গর্ভ অবস্থায় কচুর লতি খাওয়া যাবে কিনা। 
  • কচুর লতি খেলে  এলার্জি হয় কেন। 
  • কচুর লতিতে কী  ভিটামিন রয়েছে। 
  • কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা। 
  • কচুর লতি খাওয়ার আগে সাবধানতা। 


ভূমিকা 

গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময় বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকেন। তবে এসব খাবার খাওয়ার আগে খাবার সম্পর্কে উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কচুর লতি এবং কচুর শাক  এবং কচুর শাক খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। তবে এটি খাওয়ার পরে এলার্জি সমস্যা থাকলে এলার্জিতে ভুগতে পারেন অথবা গলা চুলকাতে পারে তাই গর্ভবতী মায়েরা শাক বা কচুর লতি খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে এলার্জি  আছে কিনা। তবে গর্ভকালীন সময় সন্তানের কথা চিন্তা করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যেকোনো খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে করে বাচ্চা এবং মা দুজনেই সুস্থ থাকবে। 

গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক কারণ কচুর লতি এবং কচুর শাকে  রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ভিটামিন  সি ভিটামিন ই ভিটামিন এ  ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস 

কচুশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত  সারাতে সাহায্য করে। এবং ভিটামিন এ ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয় রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমাতে চাইলে কচুর শাক অনেক কার্যকরী এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি থাকলে প্রচুর পরিমাণে কচুর লতি এবং কচু শাক খেতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত গর্ভবতী মায়ের আয়রনের অভাব আয়রনের অভাব পূর্ণ হবে। মা এবং বাচ্চা সুস্থ সবল থাকবে। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অনেক ডাক্তার রায় কচুর শাক খেতে বলেন এবং কচুর লতি খেতে বলেন। 

তাছাড়া কচুর   শাক লতি খুবই সহজলভ্য একটি খাবার  তাই যে সকল গর্ভবতী মায়েদের ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা খারাপ তারা নিয়মিত কচু শাক লতি এসব খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে। মা এবং শিশু দুজনের সুস্থ থাকবে। 

কচুর লতি কচুর শাকে থাকা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশিয়াম পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের  গুলোকে বের করে ফেলে। 

 গ্যাস্টিকের সমস্যা গর্ভবতী মায়েদের আরো একটি কমন প্রবলেম গ্যাসের সমস্যা প্রায় সকল গর্ভবতী মায়েরায় সময় গ্যাসের সমস্যায় ভোগে থাকেন। তাই এ সময় আঁশ জাতীয় খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই কচুর লতি এবং কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণে আজ থাকায় তো হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোন প্রকার গ্যাস হয় না। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় কচুর শাক এবং লতি কবি কার্যকরী খাবার যা খেলে দ্রুত হজম হয়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়  তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় নিয়মিত কচুর শাক লতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।। 

কচুর লতি খেলা এলার্জি কেন হয়। 

কচুর লতি খেলে এলার্জি কেন হয় অনেকেরই বিভিন্ন কারণে এলাচি সমস্যা হয়ে থাকে তবে খাবার খেলে সমস্যা হয়ে থাকে এলার্জি রোগীদের সে সকল খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো যদি আপনি মনে করেন কচুর  শাক বা লতি খেলে আপনার অ্যালার্জি হয় কচু শাক বা লতি এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই   ভালো। এলার্জি লক্ষণগুলো হল লাল গোটা গোটা দাগ হয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া চুলকুনি ফুসকুড়ি। তারপরও আপনার খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো। 


কচুর লতীতে  কি  ভিটামিন রয়েছে 

কচুর  লতি এবং শাক সহজলভ্য এবং    ভরপুর পুষ্টিকর খাবার। কচুর লতিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ সি বি ফাইবার কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস জিংক সহ আরো অসংখ্য পুষ্টি  উপাদান । কচুশাক লতিতে   ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। অনেক মানুষই জানে না কচু শাক লতিতে  এত পুষ্টিগুণ। তাই আরো অনেক ইনফরমেশন পেতে এই শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা 

কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা লতি খাওয়ার তেমন কোন অপকারিতা নেই কিন্তু ওই যে গলা  চুলকানো এলাচি সমস্যা হওয়া মূলত এ দুটি সমস্যায় হয়ে থাকে। কারণ কচুর লতিতে   রয়েছে অক্সিলেট তাই রান্নার পরও অনেক সময় গলা চুলকায় খাবার আগে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে গলা চুলকানো কমে যায়। আর যাদের এলার্জি সমস্যা হয় যেমন শ্বাসকষ্ট হওয়া লাল লাল গোটা গোটা দাগ চুলকানি ফুসকুড়ি । তাদেরকে কচু শাক-বা লতি  না খাওয়াই ভালো। 

কচুর লতি খাওয়ার আগে সাবধানতা 

সকল প্রকার খাবারই খাওয়ার আগে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত তাই কচু শাক লতি খাওয়ার আগেও আমাদেরকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাজারে অনেক ব্যবসায়ী পচা পানির ডোবা নোংরা  আবর্জনা থেকে  তুলে আনে । পচা পানির ডোবা নোংরা আবর্জনা থেকে তুলে আনা কচু শাক বা লতি খেলে। পরিষ্কার করার সময় হাত পা চুলকাতে পারে রান্নার পরও  গলা চুলকানো বেশি হতে পারে । পরিষ্কার করার সময় ধরার সময় হাত চুলকাতে পারে। তাই কচুর লতি বা শাক পরিষ্কার করার আগে হাতে গ্লোবস ব্যবহার করা বেশি ভালো । তাছাড়াও হাতে লাল লাল দাগ হয়ে যায় লতি বা শাক পরিষ্কার করার আগে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন । রান্নার আগে কচু শাক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে বেশি সময় ধরে সিদ্ধ করতে হবে গলা চুলকানোর ভয় থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করতে হবে। হজমের সমস্যা থাকলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url