ডায়াপার কতখন পরিয়ে রাখা যায়। এবং ডায়ারপার এর ক্ষতিকর দিক ও সর্তকতা কী।
সময় এবং কালভেদে আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বের বাবা মারা বাচ্চাদের ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। ডায়াপার পরানোর সুবিধা একাধিক ফলে নতুন বাবা মারা ডায়াপার ব্যবহার করছেন বেশি। কিন্তু অনেকেই জানে না দা পড়ানোর সঠিক নিয়ম কতক্ষণ পরানো যাবে এবং কি কি সতর্কতা অবলম্বন করে বাচ্চাদের ডায়পার পড়ানো উচিত আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব বাচ্চাদের কতক্ষণ ডায়ারাপার পরিয়ে রাখা যাবে এবং ডায়াপার পড়ানোর ক্ষতিকর দিক ও সতর্কতা।
পেজ সূচিপত্র
- বাচ্চাদের ডায়াপার পড়ানোর সময় যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
- ডায়াপার কতক্ষণ পরে রাখা যায়।
- ডায়াপার ব্যবহারে কোয়ালিটি মেইন্টেন করা
- ডায়াপার কেনার সময় অবশ্যই যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
- ডায়াপার ব্যাবহারে এ্যালার্জি বা র্যাশ সমস্যার সমাধান
বাচ্চাদের ডায়াপার পরানোর সময় যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বেশি সয়ম ধরে বাচ্চাকে ডায়াপার পড়িয়ে রাখলে বাচ্চার স্কিনে র্যাশ হতে পারে প্রসাব পায়খানার জীবানু লেগে থাকার ফলে এর থে বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রকার অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয় স্কিন লাল হয়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে তাই আপনার বাচ্চার সুসাস্থ্য বেশি সময় ধরে ডায়াপার ব্যাবহার করবেননা।
ডায়াপার কতক্ষণ করে রাখা যায়।
ডায়াপার কতক্ষণ পড়িয়ে রাখা যায় । ৩-৪ ঘন্টা পরপর ডায়াপার চেঞ্জ করা খুবই জরুরি। বাচ্চা যদি এসময়ের আগে প্রসাব পায়খানা করে তাহলে আগেই চেন্জ করতে হবে।
ডায়াপার ব্যবহারের কোয়ালিটি মেইন্টেন করা।
বাচ্চাদের ডায়াপার পড়ানোর সময় বাবা মাকে অবশ্যই ডায়াপারের কোয়ালিটি মেইনটেন করতে হবে। যে সকল ডায়াপারে লিকেজ হয় সে সকল ডায়াপার ব্যাবহার করা যাবেনা। এবং ডায়াপার অবশ্যই সফট হতে হবে।
ডায়াপার কেনার সময় অবশ্যই যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
ডায়াপার কিনার সময় অবশ্যই যে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার ওজন অনুযায়ি বিভিন্ন সাইজ এর ডায়াপার কিনতে পাওয়া যায়। যেমন M সাইজ Lসাইজ Xসাইজ XL সাইজ। বাচ্চার ওজন এর সাথে মিল না রেখে ডায়াপার পড়ানোর ফলে বাচ্চার কোমরে লাল দাগ হয়ে রক্ত জমে যেতে পারে।
ডায়াপার ব্যবহারে এলার্জি র্যাশ সমস্যার সমাধান।
ডায়াপার পরানোর পরে ডায়াপারের ওপরে অবশ্যই পাতলা পোশাক পড়াতে হবে তা না হলে ডায়াপারের ভিতরের অংশে ঘেমে বাচ্চার অস্বস্তি হতে পারে ।
ডায়াপার তৈরির সময় এতে বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল ও রসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যার ফলে বাচ্চা এলার্জি তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই skin friendly and soft ডায়াপার ব্যাবহার করতে হবে। বেশিরভাগ সময়ই বাচ্চাদের ডায়াপার ব্যবহারের ফলে স্কিনে এলার্জি এবং র্যাশ হয়। যার কারনে বাচ্চারা অস্বস্তিতে ভোগে। র্যাশ এবং এলার্জির জন্য বাজারে ফার্মেসিতে বিভিন্ন রকম ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো ব্যাবহারের ফলে বাচ্চাদের র্যাশ থেকে দূরে থাকে। ডায়াপার খুলে দেয়ার পড়ে অবশ্যই বাচ্চাকে ওয়াইপস অথবা পানি দি কিল্ন করতে হবে তা না হলে জীবানু লেগে থাকায় আরো বেশি সমস্যা হতে পারে। যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে ডায়াপার না পড়নোই ভালো।
দীর্ঘদিন যাবত ডায়াপার ব্যাবহারের ফলে বাচ্চাদের পটি ট্রেইন করার সময় বাবা মাকে সমস্যায় পড়তে হয় তাই তাই প্রয়োজনের থেকে বেশি ডায়াপার ব্যবহার না করাই ভালো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url